মাদারবোর্ড সমস্যা হয় যে সকল কারনে

motherboard-problem

মাদারবোর্ড সমস্যা হয় যে সকল কারনে

মাদারবোর্ড হচ্ছে একটা পিসির মূল চালিকা শক্তি। মাদারবোর্ড সমস্যা হওয়া মানে পুরো পিসি অকেজো। সাধারণত মাদারবোর্ডের রিপেয়ার হয়ে থাকে, তবে অনেক ক্ষেত্রে মাদারবোর্ড রিপেয়ার করার সুযোগ থাকে না। তার মানে সংশ্লিষ্ট পিসির লাইফ টাইম শেষ।

কিন্তু পিসি ব্যবহারে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করলে মাদারবোর্ড ভালো রাখা সহজ হয়। ফলে মাদারবোর্ড Fail হওয়া থেকে পিসি কে রক্ষা করা যায়।

যে সকল কারনে মাদারবোর্ড Fail হওয়ার সুযোগ তৈরী হয় তার উল্লেখযোগ্য কয়েকটি কারণ নিম্নে উল্লেখ করা হলো:

১) পাওয়ার উঠানামা করা:

যদি আপনার পিসি বা ল্যাপটপের পাওয়ার কানেকশন স্বাভাবিক না থাকে তাহলে তা যে কোন সময় মাদারবোর্ড নষ্ট হওয়ার কারণ হতে পারে। পাওয়ার কানেকশন ঢিলা ঢালা হওয়ার কারনে বা সমস্যাযুক্ত প্লাগ ব্যবহার করার কারনে অথবা বিদ্যুতের মূল লাইনে সমস্যা থাকার কারনে পাওয়ার উঠানামা করলে তা সঠিক ভাবে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয়না।

২) ধূলিকণা:

যদি আপনার ল্যাপটপ / পিসি নিয়মিত সার্ভিস না করেন তাহলে মাদারবোর্ডে অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ধূলিকণাগুলো মাদারবোর্ডের আই সি, প্রসেসরকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এবং প্রসেসরের ফ্যান  পর্যাপ্ত বাতাস না দেয়ার কারনে মাদারবোর্ড সমস্যা হতে পারে।

৩) অতিরিক্ত গরম হয়ে যাওয়া:
ধূলাবালি বা পাওয়ার সমস্যার কারনে মাদারবোর্ড অতিরিক্ত গরম হয়ে যায়। আবার প্রসেসর ফ্যান কোন কারনে জ্যাম হলে বা কানেকশন সমস্যা হলেও মাদারবোর্ড অতিরিক্ত গরম হতে পারে। আর এ কারনে অনেক সময় ফোঁড়া গন্ধ বের হয় এবং যা মূলত: মাদারবোর্ড ক্ষতিগ্রত হওয়ার লক্ষণ।

৪) পিসি বা ল্যাপটপ পড়ে যাওয়া:

অনেক সময় অসাবধানতার কারনে পিসি বা ল্যাপটপ পড়ে যায় এবং বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অথবা ট্রান্সপোর্ট করার সময় ঝাঁকুনিতে পিসির অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে মাদারবোর্ড বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

পাওয়ার কানেকশন থাকা অবস্থায় পড়ে গেলে সাথে সাথেই সমস্যা হতে পারে এবং মাদারবোর্ড সমস্যা হতে পারে।

৫) স্বাভাবিক ব্যবহারের বয়স:

প্রতিটি ডিভাইসেরই একটা স্বাভাবিক লাইফ টাইম আছে। লাইফটাইম শেষ হলে এটি আগের মত সাপোর্ট দেবে না। তখন এধরনের মাদারবোর্ড যে কোন মূহুর্তেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

৬) তরলজনিত ক্ষতি:

যে কোন ধরনের তরল ল্যাপটপ / পিসিতে পড়লে সবচেয়ে দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হয় মাদারবোর্ডের।  কাজেই ডিভাইসের পাশে তরল জাতীয় জিনিস রাখার বিষয় সতর্কতা জরুরী।

৭) অসামঞ্জস্যপূর্ণ পার্টস:

অনেক সময় আমরা নিজেরা HDD, SSD, RAM, PCI chips, CMOS Battery, Graphics Card ইত্যাদি আলাদাভাবে ইনস্টল করে থাকি। তা যদি পিসির কনফিগারেশনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হয়ে থাকে তাহলে তা পিসির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে এবং মাদারবোর্ডের ও ক্ষতি করতে পারে।

কাজেই কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকলে আমাদের পিসি, ল্যাপটপের মাদারবোর্ড  নিরাপদ রাখা যায়।

এছাড়াও যদি মাদারবোর্ড এর সমস্যা থেকেই যায়, আপনার মাদারবোর্ডটি 1000fix Services এর নিকটস্থ সেন্টারে নিয়ে আসুন।

কারণ, 1000Fix Services মাদারবোর্ড সার্ভিস এ সফলতার হার প্রায়  ৮০%. 

Which Repair Service Do you Need?

Leave a Reply


You've just added this product to the cart: