যে সকল কারনে আপনার ল্যাপটপ পুড়ে যেতে পারে!

laptop burn

যে সকল কারনে আপনার ল্যাপটপ পুড়ে যেতে পারে!

ল্যাপটপ পুড়ে যাওয়ার কারন-

ল্যাপটপ অনেক কারনেই পুড়ে যেতে পারে, যেমন- অতিরিক্ত গরম, পাওয়ার জনিত সমস্যা, হার্ডওয়ার জনিত সমস্যা, সফটওয়্যার সমস্যা, ব্যাটারী ব্যাকআপ ক্ষমতা শেষ হয়ে যাওয়া, ইলেক্ট্রিক ভোল্টেজ এর সমস্যা, ল্যাপটপ পড়ে গিয়ে বা তরলজনিত কোন কারনে বাহ্যিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া, ওভার চার্জিং ইত্যাদি। নিম্নে কিছু বিষয় সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো:

অতিরিক্ত গরম হওয়া:

সাধারণত ল্যাপটপের যে সকল সমস্যা হয়ে থাকে এর মধ্যে অত্যন্ত নিয়মিত একটি কারণ হলো অতিরিক্ত গরম হওয়া। আভ্যন্তরীন পার্টস যেমন- প্রসেসর, গ্রাফিক্স কার্ড সাধারণত গরম হয়ে থাকে এবং Cooling System নষ্ট থাকলে ল্যাপটপ গরম হয়ে যেতে পারে । অতিরিক্ত গরম হয়ে যাওয়ার কারনে আভ্যন্তরীন পার্টস যেমন- প্রসেসর, গ্রাফিক্স কার্ড এবং মাদারবোর্ড ইত্যাদি গরম হয়ে আগুন ধরতে পারে এবং যার ফলে ল্যাপটপেও আগুন ধরে যেতে পারে।

পাওয়ার সমস্যা:

ল্যাপটপের পাওয়ার জনিত সমস্যা যেমন- ত্রুটিযুক্ত অ্যাডাপ্টার, খারাপ ব্যাটারী, সমস্যাযুক্ত ইলেকট্রিক সার্কিট এ চার্জ দেয়ার কারনে ল্যাপটপে আগুন ধরে যেতে পারে। যখন ল্যাপটপ সঠিকভাবে চার্জ গ্রহন করতে পারেনা বা ইলেক্ট্রিসিটির ভোল্টেজ উঠা নামা করার কারনে প্রসেসর, গ্রাফিক্স কার্ড এবং মাদারবোর্ড ক্ষতিগ্রস্ত হতে পরে এবং তার ফলশ্রুতিতে ল্যাপটপে আগুন ও ধরে যেতে পারে।

হার্ডওয়্যার জনিত সমস্যা:

হার্ডওয়্যার জনিত সমস্যা যেমন, ত্রুটিযুক্ত প্রসেসর, গ্রাফিক্স কার্ড বা মাদারবোর্ড সহজেই ল্যাপটপ পুড়ে যাওয়ার কারন হতে পারে। আর হার্ডহওয়্যার সমস্যা তৈরী হতে পারে কয়েকটি কারনে – দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবহার করা, গরম হয়ে যায় এধরনের কোন কাজে ব্যবহার অথবা তাপের  কাছাকাছি রাখা বা ম্যানুফ্যাকচারিং ত্রুটি।

সফটওয়্যার ত্রুটি:

সফটওয়্যার ত্রুটিজনিত কারনে ল্যাপটপ অনেক ভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। যেমন= স্লো হয়ে যাওয়া, ক্র‌্যাশ করা, ডাটা হারিয়ে যাওয়া। সফটওয়্যার জনিত সমস্যার কারনে ল্যাপটপ অত্যধিক গরম হতে পারে যার ফলে আভ্রন্তরীন পার্টস নষ্ট হয়ে পুড়েও যেতে পারে।

ব্যাটারী Failure:

ব্যাটারী Fail এর কারনে ল্যাপটপ অনাকাঙ্খিতভাবে  বন্ধ হয়ে যেতে পারে, তারফলে আভ্যন্তরীন পার্ট ক্ষতিগ্রস্থ হতে ল্যাপটপে আগুন ধরে যেতে পারে।

ওভার ক্লকিং:

ওভারক্লকিং এর কারনে অনেক ক্ষেত্রে আভ্যন্তরীন পার্টস গরম হয়ে যেতে পারে যার ফলে ল্যাপটপে আগুন ধরে যেতে পারে।

ভোল্টেজ উঠানামা:

ভোল্টেজ উঠানামা করার কারনে মাদারবোর্ডের পাওয়ার সরবরাহে সমস্যা তৈরী হতে পারে যার ফলে আভ্যন্তরীন পার্টস সমস্যাগ্রস্ত হতে পারে, এমনকি পুড়েও যেতে পারে।

পুরাতন হয়ে যাওয়া:

প্রত্যেক ডিভাইসের একটা লাইফটাইম থাকে। এরপর এর কার্যক্ষমতা কমে যায়। এমাতাবস্থায় ও যদি ব্যবহার করা হয়, তাহলে একাধিক পার্টস অকেজো হয়ে ডিভাইসটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ক্ষেত্র বিশেষে আগুন ও ধরে যেতে পারে।

অধিক সময় ধরে চার্জ দেয়া:

ল্যাপটপ অধিক সময় ধরে চার্জে রাখলে ব্যাটারীর চার্জ ধারন ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে ব্যাটারী বিস্ফোরিত হয়ে আগুন ধরে যেতে পারে।

ল্যাপটপে ধুলোবালির জমা:

ল্যাপটপে বেশী ধুলোবালি জমে থাকলে তার কারনে অত্যধিক গরম হতে পারে এবং ফলশ্রুতিতে আগুন ধরে যেতে পারে।

নিম্ন মানে চার্জার বা পাওয়ার অ্যাডাপটার ব্যবহার:

নিম্ন মানের চার্জার / পাওয়ার অ্যাডাপ্টার ব্যবহার করলে তা সঠিকভাবে ডিভাইসে পাওয়ার সরবরাহ করেনা, যারফলে আভ্যন্তরীন পার্টস নষ্ট হয়ে পুড়ে যেতে পারে।

যত্নসহকারে ল্যাপটপ ব্যবহার করে এধরনের অনাকাঙ্খিত সমস্যা সহজে এড়িয়ে যাওয়া যায়। ল্যাপটপ নিয়মিত পরিষ্কার করা, ধুলোমুক্ত স্থানে ব্যবহার করা, সঠিক পার্টস ব্যবহার করা, সঠিক চার্জার ব্যবহার করা, ইলেক্ট্রিক সার্কিট ত্রুটিমুক্ত রাখা, সঠিক নিয়ম মেনে চার্জ দেয়া, অবিরতভাবে না চালিয়ে রেখে মাঝে মাঝে শাট ডাউন দিয়ে রাখা, বেশী পুরাতন হলে বদলে নেয়া, বৈদ্যুতিক গোলযোগের সময় ইলেক্ট্রিক কানেকশন থেকে খুলে রাখা  ইত্যাদি বিষয় খেয়াল রাখলে সহজেই ল্যাপটপ পুড়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করা যায়।

Service You May Like..

Leave a Reply