অসচেতনতায় ঘটতে পারে এসির বিস্ফোরণ

অসচেতনতায় ঘটতে পারে এসির বিস্ফোরণ

আমাদের বাংলাদেশকে বলা হয়ে থাকে ষড়ঋতুর দেশ।  কিন্তু বর্তমান সময়ে জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে বছরের অনেকটা সময় জুড়ে দেশের মানুষকে গরমের মধ্যে দিয়ে জীবনযাপন করতে হয়। এর ফলে মানুষ গরমে প্রশান্তির জন্য নিজের বসবাসের ঘর , কর্মস্থল এবং বিভিন্ন জায়গায় এসি ব্যবহার করে থাকে।  দিন দিন এসির ব্যবহার বেশ জনপ্রিয় হয় উঠছে এবং এটি মানুষের দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনে পরিণত হয়েছে। তবে এই যন্ত্রটি কখনো কখনো নিরাপত্তার ঝুঁকিও তৈরি করতে পারে। যেমন মানুষের অসতর্কতার কারণে এবং সঠিক পরিচর্চার অভাবে এসি বিস্ফোরণ হয়ে মানুষ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। আমরা বিগত সময়ের কিছু দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান দেখলে বুঝতে পারবো এসি বিস্ফোরণ রোধে আমাদের সতর্ক হওয়াটা কতটা গুরুত্বপূর্ন। 

যেমন দমকল বিভাগের তথ্য অনুযায়ী ২০১৯ সালে ঢাকা ও গাজীপুর মিলিয়ে অন্তত পাঁচটি এসি বিস্ফোরণের দুর্ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে অন্তত চারজন মৃত্যুবরণ করেছে ও আহত হয়েছে অন্তত ২২জন। পরবর্তী  ২০২০ সালে এসি বিস্ফোরণ থেকে সংঘটিত আগুনের সংখ্যা ছিল ৩২। এরপর  ২০২১ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৯টি। যা আবার গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে এসি বিস্ফোরণ থেকে সংঘটিত অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে ৪৮টি যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। তবে প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক ব্যাবস্থা নিলে দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব । তাই কি কি কারণে এসি বিস্ফোরণ ঘটতে পারে এবং এসি বিস্ফোরণ রোধে কি কি পদক্ষেপ নিতে হবে তা মানুষের জানা জুরুরী।

যেসব উল্লেখযোগ্য কারণে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে:

অধিকাংশ বিশেষজ্ঞদের মতে এসি বিস্ফোরণ দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হচ্ছে ঠিকমতো এসির রক্ষণাবেক্ষন না করা। উল্লখযোগ্য আরো কিছু কারণ যেমন :

  • ভালো মানের সঠিক পাওয়ার ক্যাবল ব্যবহার না করা ।
  • এসির কনডেনসার এ ময়লা থাকলে কম্প্র্রেসর-এ প্রচন্ড গরম হয় এবং হাই প্রেশার তৈরি হওয়া। 
  • এসির ভেতরের পাইপের কোথাও ব্লকেজ থাকলে প্রচন্ড চাপ তৈরি হয়ে কম্প্র্রেসর ব্লাস্ট হতে পারে।
  • কম্প্র্রেসর-এর লিমিটের চেয়ে বেশি রেফ্রিজারেন্ট চার্জ করলে অর্থাৎ দীর্ঘসময় চার্জে রাখলে প্রচন্ড চাপ তৈরি হয়ে বিস্ফোরিত হতে পারে। 
  • কম্প্রেসর-এ প্রয়োজনীয় পরিমাণ রেফ্রিজারেন্ট না থাকলে ভেতরের তাপমাত্রা লিমিটের চেয়ে বেড়ে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। 
  • সঠিকভাবে এসির ভ্যাকুয়াম ব্যবহার না করলে।
  •  ভালো মানের  সার্কিট ব্রেকার ব্যবহার না করলে।

এসি বিস্ফোরণ রোধে যেসব পদক্ষপ নেওয়া জুরুরী:

বিস্ফোরণ রোধে এসি রক্ষণাবেক্ষনের ক্ষেত্রে অধিক মনোযোগী  হতে হবে. বিশেষ করে দীর্ঘদিন এসি বন্ধ থাকার পর অর্থাৎ শীতের দীর্ঘ সময় শেষে গরমে এসি চালানোর পূর্বে ভালো কোনো দক্ষ ও নির্ভরযোগ্য টেকনিশিয়ানকে দিয়ে চেক করিয়ে নেওয়া এতে কোনো সমস্যা থাকলে তা সমাধান করে নেওয়া। ফলে বড় কোনো দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব।

  • এসির কনডেনসার নিয়মিত পরিষ্কার রাখা।
  • কম্প্র্রেসর-এ স্বাভাবিকের চেয়ে গরম  এবং প্রচন্ড চাপ তৈরি হচ্ছে কি না পরীক্ষা করা।
  • এসির পাইপের ভেতরের কোথাও ব্লকেজ আছে কি না পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা।
  • কম্প্র্রেসর-এ প্রয়োজনীয় পরিমাণ রেফ্রিজারেন্ট আছে কি না তা অভিজ্ঞ টেকনিশিয়ান দ্বারা পরীক্ষা করা।
  • কম্প্র্রেসর-এর লিমিটের চেয়ে বেশি রেফ্রিজারেন্ট চার্জ না করা এবং সঠিক পদ্ধতিতে রেফ্রিজারেন্ট চার্জ করা।
  • সঠিকভাবে এসির ভ্যাকুয়াম করা।
  • ভালো মানের সার্কিট ব্রেকার ব্যবহার করা।
  • বিশ্বস্ত এবং নির্ভরযোগ্য ব্র্যান্ডের এসি, কম্প্র্রেসর এবং রেফ্রিজারেন্ট ব্যবহার করা।
  •  ভালো মানের সার্কিট ব্রেকার ব্যবহার করা।

1000FiX AC Service:

প্রতি বছরের ন্যায় দীর্ঘ শীত শেষে আবার এলো গ্রীষ্মকাল, এই গরমে নিশ্চই আপনি আপনার বাসার এসি ব্যবহারের কথা ভাবছেন এসময় আপনার একমাত্র ভরসার জায়গা হতে পারে আমাদের 1000FiX.com । আমরা দিচ্ছি আপনাকে দক্ষ ও নির্ভরযোগ্য টেকনিশিয়ানের নিশ্চয়তা। 1000FiX হচ্ছে দেশের একমাত্র বিশস্ত সার্ভিস সেন্টার যারা কিনা সাশ্রয়ী মূল্যে সেরা এসি সার্ভিস দিয়ে থাকে। আমাদের রয়েছে পিক এন্ড ড্রপ সার্ভিস। তাই গরমের শুরুতে এসি ব্যবহারের পূর্বে দক্ষ টেকনিশিয়ান দিয়ে আপনার এসিটি পরীক্ষা করে নিন। আর দেরি নয় এখনই  সার্ভিস পেতে 16743 নাম্বারে কল করুন আমাদের 1000FiX কল সেন্টারে অথবা এই https://1000fix.com/product/ac-repair-service/ লিংকে ভিজিট করে সার্ভিসটি অর্ডার করুন। 

Leave a Reply